ফররুখ আহম্মদ
১৯১৮ সালের ১০জুন যশোরের মাঝাআইল গ্রামে ফররুখ আহম্মদ জন্মনেন। যশোরের মাঝআইল নামক গ্রামে। তিনি মূলত ইসলামিক স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি। আরবি-পারসি শব্দের প্রয়োগ নৈপুন্য, বিষয়বস্তু ও আঙ্গিকের অভিনবত্ব ছিলো তার রচনার বৈশিষ্ট্য।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে অবস্থান করলেও তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিরা করেছেন এবং অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। পাকিস্তানের বেতার ও টিভিতে রবীন্দ্রসংগীত বন্ধের প্রশ্নে তিনি এর সমর্থন করেন।
তিনি কাহিনী কাব্য রচনা করেন। হাতেমতায়ী ছিলো তার বিখ্যাত কাহিনী কাব্য। এই রচনার জন্য আদমজি সাহিত্য পুরুষ্কার লাভ করেন তিনি।
নৌফেল ও হাতেম- তাঁর বিখ্যাত কাব্য নাট্য।
তিনি শিশুতোষ গ্রন্থ ‘’পাখির বাসা’’র জন্য ইউনেস্কো পুরুষ্কার লাভ করেন।
তার শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ‘’সাত সাগরের মাঝি’’। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ৪৪টি কবিতা আছে। তিনি মূলত মুসলমানদের জাগরনের স্বার্থে এই কবিতাগুলো রচনা করেন। এই কাব্যগ্রন্থটির অন্যতম বিখ্যাত কবিতা হলো “পাঞ্জেরি’’। কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত একটি রূপক(allegory) কবিতা। কবিতায় পাঞ্জেরি হলো জাতির পথ প্রদর্শকের প্রতীক। তিনি ‘’আসমান’’ শব্দটির মাধ্যমে জাতীয় জীবনকে বুঝিয়েছেন। “সাত সাগরের মাঝি’’ কাব্যগ্রন্থের সর্বশেষ কবিতাটি ছিলো ‘’সাত সাগরের মাঝি’’। এটি ছিলো একটা রূপক(allegory) কবিতা। নেতৃত্বের গাফিলতির কারনে মুসলিম সমাজের জাতীয় জীবনে দুর্দিন নেমে আসলে সাত সাগরের মাঝিকে আহ্বান করা হয়।
তিনি ‘’মুহুর্তের কবিতা’’ নামক একটা সনেট সংকলন রচনা করেন।
১৯ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন।
No comments