Header Ads

Header ADS

Linkin Park - Heavy - Song Meanings - বাংলা।

 

#remembering

আজ ২০ জুলাই ২০২০। ঠিক তিন বছর আগে ২০১৭ সালের আজকের এই দিন থেকে মিউজিকে একটা কাল অধ্যায় শুরুর দিন। মিডিয়া ভুবনে এমন অনেক তারকা আছে যাদের চলে যাওয়ার ঘটনা মেনে নেয়ায় দর্শকদের জন্য অনেক কষ্টকর। তার একটি কারণও আছে, হয়ত ওই মানুষটি মৃত্যুর আগে এমন কিছু কাজ করে গেছে যা দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। মূলত তার কাজ-কর্মই দর্শকদের কাছে বারবার নাড়া দেয় বলে তার মৃত্যু মেনে নিতে পারে না ভক্তকুল। এমনই একজন গায়ককে আমরা তিন বছর আগে হারিয়েছি, হ্যাঁ আমি অন্য করো কথা বলছি না বলছি লিনকিন পার্ক-এর গায়ক চেস্টার চার্লস বেনিংটন। তিনি লস অ্যাঞ্জেলসের পালোস ভার্দোস স্টেটে নিজ বাসভবনে আত্মহত্যা করেছেন।

চলুন দেখে নেয়া যাক আমেরিকান রক ব্যান্ড Linkin Park এর বিখ্যাত “Heavy” গানটির অর্থ।

নিজ কথা— ( Linkin Park এর অসংখ্য গানের মধ্যে এই গানটি পছন্দের অন্যতম। যার কারনে এই গানটির অর্থ বের করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।)
এই গানটি আমেরিকান রক ব্যান্ড ‘লিংকিন পার্ক’ এর সপ্তম অ্যালবাম “One More Light” থেকে নেয়া হয়েছে। গানটি গেয়েছেন চিরাচরিত সেই চেস্টার বেনিংটন সাথে ছিলেন আমেরিকান আরেক শিল্পী কিয়ারা। প্রধান কণ্ঠশিল্পী চেস্টার বেনিংটনের গাদা করা অপ্রয়োজনীয় মানসিক সমস্যাগুলির ওজন অনুভব করার বিষয়টি এবং আরো তার ঐশ্বরিক কন্ঠে গাওয়া যা গানটিকে শেষ পর্যন্ত একটি অন্য মাত্রা দিয়েছে। এই গানটি আমাদের বিষণ্নতা, সমস্যাগুলি এবং আত্মনিগ্রহ ব্যাথা থেকে পালাতে একটি ব্যক্তির অক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের বলে। ওভারথিংকিং এর বিষয়টি এই সমস্যার কারণ হতে পারে। এই গানটি আসলে চেস্টারের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ইঙ্গিত করে (আমি তাকে মিস করি)। এই গুরুতর সমস্যাগুলির সাথে নিয়ে একজন ব্যক্তি তার জীবনের সামনে আগাতে পারে না। সে তখন চেষ্টা করে বাজে কাজ (নিজের প্রতি) করার এবং ইচ্ছা থাকেনা কোনোভাবে বেচে থাকার। যা ২০ জুলাই, ২০১৭ তারিখে তার নিজেরই আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।



পুরো গানটি….


I don’t like my mind right now
Stacking up problems that are so unnecessary
Wish that I could slow things down
I wanna let go, but there’s comfort in the panic

এখানে গানটির প্রথম লাইনটিই একটি ডিপ্রেসিভ মনোভাব অর্থাৎ বিষন্নতা ফুটে উঠেছে যেখানে তার এখন আর নিজের মনকে পছন্দসই মনে হচ্ছে না। সে নিজেও বুঝতে পারছে যে অতিরিক্ত চিন্তা ও অপ্রয়ােজনীয় এক গাদা সমস্যা জড় করেছেন। আবার জীবনের এক পর্যায়ে এসব সমস্যা কমিয়ে আনাও সম্ভব যা সে আশাও রেখেছেন। সে এইসব ছেড়ে যেতে চাইছেন কিন্তু আবার বলেছেন যে এই অস্বস্তির মাঝেও রয়েছে স্বস্তি। অর্থাৎ সমস্যা নিয়েই জীবন তার মধ্যেই সামান্য স্বস্তি খুঁজে নিতে হবে। প্রায়শই আমাদের জীবনের অধিকাংশ সমস্যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী যেটা আমরা শুধু শুধু তৈরি করি এবং সেটা নিয়ে ওভার থিংকিং করি যার ফলে নিজের মনের সাথেই নিজের একটি দেয়াল তৈরি করি। আর যখনই আমরা বুঝতে পারি যে দেয়ালের সৃষ্টি হয়েছে তখন মনের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু কাজ করে বসি। এটিই মূলত গানটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

And I drive myself crazy
Thinking everything’s about me
Yeah, I drive myself crazy
Cause I can’t escape the gravity
I’m holding on
Why is everything so heavy?
Holding on
To so much more than I can carry

লেখক এখানেই তার মানসিক সমস্যাগুলোর ওজন অনুভব করা ফুটে উঠেছে। বিষন্নতা যখন চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে তখন আমরা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না। তখন আমরা নিজেকে পাগলের মত পরিচালনা করি, খারাপ ভালো, পরিণতি ইত্যাদি বিবেচনা করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলি। আমাদের এমন ভাবে পরিচালনা করি যেমন একটি গাড়ি ব্রেক ফেইল করলে যেটা হয়। লেখক এখানে এমন এই একটি পরিস্থিতির মাঝে পড়ে গেছেন যেটা তার গানটির এই অংশে প্রতিয়মান হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো বস্তুর কেন্দ্রের দিকের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে আমরা যেমন অস্বীকার করতে পারি না। তেমনি বাস্তব জীবনের নানাবিধ সমস্যা ও মানসিক বিষন্নতা, কিছু না পাওয়ার নীল বেদনা ইত্যাদি বিষয়াবলীও আমাদের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে লেগে থাকবে স্বাভাবিক। এই জীবন আর সমস্যার লেগে থাকার বিষয়টি যেটাও এক ধরনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মত কাজ করে। এক পর্যায়ে মানুষ এই শক্তিকে এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। একজন ব্যাক্তির সুখের চেয়ে দুঃখের বোঁঝার ওজন যদি বেশি হয় অথবা সমস্যা (এখানে মনের সাথে দ্বন্দকে বোঝানো হয়েছে) অতিক্রম করার সামর্থ্যের চেয়ে যদি সমস্যার পরিমাণ বেশি হয় তখনই মানুষ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার বেঁচে থাকার ইচ্ছার ঘাটতি হয়।

লেখক সেটাই এখানে প্রশ্ন করেছেন যে সবকিছু কেনো এত কঠিন? আর আমি যেটা ধরে আছি সেটার ওজন আমার সামর্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি। আর আমরাও প্রায়শই এমন কিছু চিন্তা বা আশা করি বা বায়না ধরে বসি যা আমাদের সামর্থ্যে বাইরে বা ঐ বস্তুটি আমাদের প্রাপ্য নয়। হয়ত আমরা যোগ্যও নই। কিন্তু আমরা সেই যোগ্যতার বিরুদ্ধে জেদ ধরি এবং ওভারথিংকিং করি যা ফলে বেশিরভাগ অপ্রয়োজনীয় মানসিক বিষন্নতাগুলি সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। সাধারণত আমরা যখন মাথার ভিতরে আছি, তখন আমরা নিজেকে খারাপ, ভারী অবস্থায় খুঁজে পাই।

I keep dragging around what’s bringing me down
If I just let go, I’d be set free
Holding on
Why is everything so heavy?

আসলে আমাদের জীবনে এমন অনেক কিছুই আছে যা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকি বা থাকতে চাই কিন্তু এগুলো আমাদের ক্রমশই নিচের দিকে টেনে ধরে। এগুলো আমাদের জীবন ধারার মানকে অবনমিত করে রাখে মানসিক ভাবে। তখন নিজের মনের উপর একটা নাবোধক প্রভাবের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সবকিছুই মনে হবে যে কে যেনো আমাকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটাও বুঝি যদি সেই আঁকড়ে ধরা ব্যাপার গুলো ছেড়ে দিতে পারি তাহলে আমরা মুক্ত হব কিন্তু পারি না। এই ব্যাপার গুলোই চেস্টার বেনিংটোন তার গানের এই অংশে আমাদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন। প্রায় সবারই জীবনে স্বঘোষিত এমন কিছু অমিমাংসিত ব্যাপার থাকে যা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে মানুষ অভ্যস্থ। আর চেস্টারের অধিকাংশ গানগুলোর মধ্যেই জীবনের নানাবিধ বিষন্নতার সাথে তার যুদ্ধ করার প্রয়াস খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে তার বাস্তব জীবনেও এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন। এমনকি স্কিন কালার এর জন্যও বন্ধুরা তার সাথে ভালোভাবে কথা এবং মিশতেও চাইত না। এরকম আরও বহু সমস্যার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন তিনি আর এগুলোই তার গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন।

Why is everything so heavy?
You say that I’m paranoid
But I’m pretty sure the world is out to get me
It’s not like I make the choice
To let my mind stay so fucking messy
I know I’m not the center of the universe
But you keep spinning ’round me just the same
I know I’m not the center of the universe
But you keep spinning ’round me just the same
I’m holding on
Why is everything so heavy?

লেখক এক পর্যায়ে তার এই জীবদ্দশাকে বলেছেন যে তুমি আমাকে ভীতু বলেছিলে কিন্ত আমি নিশ্চিত পৃথিবী আমার পিছেই পড়ে আছে। এখানে সমস্যা গুলোর কথা বলা হয়েছে। আর এটা এমনটা নয় যে আমিই এটা চেয়েছি। এখন তিনি নিজের মনকে নোংরা করে ফেলেছেন বলে অনুভব করেছেন। এরকম আমরাও মাঝে মাঝে নিজেকে অনুভব করতে সক্ষম হই। যখন আমরা মনের বাইরে থাকি তখন খুব ভালো মানুষ মনে করি কিন্তু যখন আমরা মনের ভিতরে ঢুকি বা নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করি তখন নিজেকে ভুতুড়ে বা পাগলকে আবিস্কার করে থাকি। প্রায়শই আমরা যে যার অবস্থান থেকে নিজেকে সবচেয়ে দুর্ভাগা মনে করে থাকি। যত সব সমস্যা -ঝামেলারা যেন আমার চারপাশে প্রদক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু জানি আমিতো আর এই মহাবিশ্বের মধ্যমনি নই। আর লেখকের মনে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছিলো। এখানে আমরা আবারও বলতে পারি সবকিছু কেন এতো কঠিন যেগুলো আমি বহন করে চলেছি।

Holding on
Why is everything so heavy?
I know I’m not the center of the universe
You keep spinning ’round me just the same
I know I’m not the center of the universe
But you keep spinning ’round me just the same
And I drive myself crazy
Thinking everything’s about me
[আগের অর্থ দেখুন……….]

Holding on
Why is everything so heavy?
Holding on
To so much more than I can carry
I keep dragging around what’s bringing me down
If I just let go, I’d be set free
Holding on
Why is everything so heavy?
Why is everything so heavy?
Why is everything so heavy?

আসলে চেস্টারের জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটেছে যা তাকে বহুভাবে ডিপ্রেসিভ করে তুলেছিল। ১১ বছর বয়সেই তার বাবা-মা এর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর বেনিংটনের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তিনি দায়িত্ব পান তার বাবার। মূলত এরপর থেকেই বেনিংটন মারিজুয়ানা, মদ, অপিয়াম, কোকেইন, মেটাফেটামিন, এলএস ডি- ইত্যাদিতে আসক্ত হন। তার আসক্তিটা ছিলো মাত্রাতিরিক্ত। এই আসক্তির আরেকটি কারণ ছিল, তিনি নিজেই স্বীকার করেছে যে ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সে ছােট বেলায় তাকে অনেকবার সেক্সুয়ালী অ্যাবিউস করা হয়েছিল। আর সেখান থেকেই তার ডিপ্রেশনের শুরু। আর এই ডিপ্রেশন কমাতে ড্রাগ অ্যালকোহলের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে। সেসময় আত্মহত্যার ভূত মাথায় চেপে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অকপটে তিনি বলেছেন। আরাে দুঃখের ব্যাপার এই যে চেস্টারের মৃত্যুর ২ মাস আগে তার বন্ধু ক্রিস কর্নেল( Soundgarden ব্যান্ডের ভােকালিস্ট) ঠিক একইভাবে সুইসাইড করেছিল। ফলে চেস্টার আরাে ডিপ্রেসড হয়ে পড়েছিল। চেস্টার যে কি পরিমান ডিপ্রেশনে ভুক্ত সেটা তার লাস্টের অ্যালবাম (One more light) এর প্রত্যেকটা গানের লিরিক্স ভালাে করে শুনলেই বুঝতে পারা যায়।
যেমন—
[“I don’t like my mind right now
Stacking up problems that are so unnecessary.
I’m holding onWhy is everything so heavy”
(song – heavy যেটা এতক্ষণ বললাম )]

[“I’m dancing with my demons
I’m hanging off the edge
You tell me it’s alright
Tell me I’m forgiven Tonight
But nobody can save me now”
(song – nobody can save me now)]

[“So say goodbye and hit the road
Pack it up and disappear
You better have some place to go
Cause you can’t come back around here” (good goodbye)]

[” Lift me up, let me go
Lift me up, let me go-
And it can’t be outfought
It can’t be outdone
It can’t be outmatched
It can’t be outrun, no!” (The Catalyst) ]

এরকম লিরিক্স কেবলমাত্র একজন ডিপ্রেসড লােকই লিখতে পারে প্রায় প্রতিটা গানই একই রকম কথা। কিন্তু ব্যর্থতাটা আমাদের। আর ব্যর্থতা টা আমাদের কোথায় জানেন? গানগুলোর লিরিক্সের পিছনের আসল মর্ম আমরা তখন বুঝতে পারিনি। আমরা এখন বুঝেছি! ব্যর্থতাটা আমাদের যে আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। ব্যর্থ আমরা যারা আর তার গলা কখনাে শুনতে পাবে না। কারন –
“Who cares if one more light goes out
In the sky of a million stars? It flickers, flickers
Who cares when someone’s time runs out?
If a moment is all we are We’re quicker, quicker
Who cares if one more light goes out?
Well I do”
অবশ্য ঈশ্বরের দেয়া এই মহামূল্যবান জীবনে নিজির হাতে এভাবে শেষ করাটাও পাপ কিন্তু মানুষ এই ভারসাম্যটাকে সামলাতে না পারার কারনেই দুর্ঘটনা ঘটায়।
চেস্টার আজ তোমার মৃত্যুর তিন বছর পূর্ণ হওয়ায় তোমার গানের মাধ্যমে আমি তোমাকে স্বরন করার চেষ্টা করেছি। লক্ষ কোটি ভক্তকে বেঁচে থাকার প্রেরনা দিয়ে নিজেই চলে গেলে না ফেরার দেশে। তুমি রবে হৃদয়ে।

#staystrong #YouAreNotAlone

#fuckdepression

#MakeChesterProud

লিখনে — Apurba Bepari Yuvi

No comments

Powered by Blogger.